চাঁদপুরের কচুয়ার কৃতিসন্তান ইঞ্জিনিয়ার মো. জসীম উদ্দিন নিজ এলাকায় শিক্ষাবিস্তারে কার্যকর পদক্ষেপ নিয়েছেন। কেবল জনসেবায়ই তাঁর কর্মতৎপরতা এখন সীমাবদ্ধ নয়। রাজনীতি ও সমাজসেবায় সরব এই শিক্ষানুরাগী জাপান প্রবাসী শিক্ষার আলো ছড়াতে এখন নিজ এলাকায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠায় মনোনিবেশ করেছেন। ইতোমধ্যে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও গবেষকগণ এলাকাটি পরিদর্শন করেছেন এবং ইঞ্জিনিয়ার জসীম উদ্দিন স্কুল অ্যান্ড কলেজ নামে মধুপুর গ্রামে একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান স্থাপনের ব্যাপারে এলাকাবাসীদের নিয়ে একটি মতবিনিময় সভাও অনুষ্ঠিত হয়েছে। রাজনীতিক হিসেবে বর্তমানে তিনি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাপান শাখার সেক্রেটারি জেনারেল ও বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রেসিডিয়াম সদস্য পদে রয়েছেন। তিনি কচুয়া উপজেলার মধুপুর প্রাইমারি স্কুল থেকে ১৯৭৫ সালে প্রাথমিক শিক্ষা, পরে চশই হাই স্কুল, বারৈায়ারা হাইস্কুল এবং ১৯৮১ সালে কাচিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে কৃতিত্বের সাথে মাধ্ধ্যমিক শিক্ষা সম্পন্ন করেন। ১৯৮৩ সালে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজে হতে উচ্চমাধ্যমিক ও পরে শহীদ সামছুল হক সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ হতে প্রকৌশল শিক্ষা সম্পন্ন করেন। এরপর উন্নত শিক্ষা ও কর্মসংস্থান পেতে জাপান পাড়ি জমান। এরই মধ্যে তিনি ইউনিভার্সিটি অব কুমিল্লা হতেও সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং-এ স্নাতক ও স্নতকোত্তর পর্যায়ে এমবিএ ডিগ্রি অর্জন করেন। নিজ এলাকার সন্তানদের শিক্ষার আলোয় আলোকিত করতে এখন তিনি শিক্ষাবিস্তারে মনোনিবেশ করেছেন। আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি চাঁদপুর-১ আসন হতে আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী হিসেবে মনোনয়ন প্রত্যাশী।
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে এই প্রতিবেদককে মুঠোফোনের মাধ্যমে জাপান হতে তিনি বলেন, আমার ছোটবেলায় লেখাপড়া করতে অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থার অভাবে। আমার সমবয়সী অনেকেই এসব কারণে লেখাপড়া করতে পারেনি। আমার এলাকার শিশুকিশোররা যাতে মানসম্পন্ন শিক্ষা হতে বঞ্চিত না থাকে এবং শিক্ষার আলোয় আলোকিত হয়ে তারা নিজ মা বাবার মুখে হাসি ফোটাতে সেই চিন্তাই আমার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার চেষ্টা। সরকারী করণ না হওয়া পর্যন্ত শিক্ষকদের বেতন-ভাতাও আমার নিজের ফান্ড থেকেই চালাবো। আল্লাহ যখন আমাকে সামর্থ্য দিয়েছেন তাই এই উপলব্ধি থেকেই আমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছি। যা সম্পূর্ণরূপে মানবকল্যাণে; বাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে নয়। আশাকরি, আগামী শিক্ষাবর্ষ হতেই শিক্ষার্থীগণ এখানে লেখাপড়া শুরু করতে পারবে ইনশাআল্লাহ। এ ব্যাপারে আমি এলাকাবাসীর সার্বিক সহযোগিতা চাই।